প্রথমে দু’আটির প্রেক্ষাপট জেনে নেওয়া যাক, তাহলে আমল করতে আগ্রহ বাড়বে ইনশাআল্লাহ্।

রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অত্যন্ত প্রিয় একজন সাহাবি ছিলেন মু’আয ইবনু জাবাল (রা.)। তাঁকে তিনি অন্য এলাকায় ইমাম হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন, নওমুসলিমদের ইমামতি করার জন্য। সেই মু’আয (রা.) বলেন, (একদিন) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার হাত ধরে বলেন, “মু’আয! আমি তোমাকে ভালোবাসি।…মু’আয! আমি তোমাকে ওসিয়ত করছি, প্রত্যেক সালাতের পর এ দু’আটি বলা কখনো বাদ দিয়ো না।”

দু’আটি হলো-

اللّٰهُمَّ أَعِنِّيْ عَلٰى ذِكْرِكَ، وَشُكْرِكَ، وَحُسْنِ عِبَادَتِكَ.

(মোটামুটি উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা আ’ইন্নি ‘আলা যিকরিকা, ওয়া শুকরিকা, ওয়া হুসনি ‘ইবাদাতিকা)
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাকে আপনার যিকর করতে, শুকরিয়া আদায় করতে ও আপনার ইবাদত উত্তমরূপে করতে আমাকে সাহায্য করুন।
[আবু দাউদ: ১৫২২, হাকিম: ৬৭৭, সহিহ আত-তারগিব: ২/২১৯; হাদিসটি সহিহ]

প্রথমত, হাদিসটির বর্ণনা খুবই সুন্দর। নবীজি খুবই স্নেহ করে মু’আয (রা.)-কে দু’আটি শিখিয়েছেন।
দ্বিতীয়ত, তিনি এটা ওসিয়ত করেছেন, নামাযের পরে পড়তে। সাধারণ কথা আর ওসিয়তের মধ্যে পার্থক্য অনেক। মানুষ খুব গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারেই কেবল ওসিয়ত করে থাকে।
তৃতীয়ত, দু’আটির অর্থও খুবই সুন্দর ও ব্যাপক।

আসুন! নিজেরা আমল করি, অন্যকেও আমল করতে বলি।

 সালাম ফিরানোর পরপর তিনবার “আসতাগফিরুল্লাহ” পড়বেন (আসতাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, আম্তাগফিরুল্লাহ এভাবে)।
এরপর পড়বেন-
اللهم أَنْتَ السَّلَامْ، وَمِنْكَ السَّلَامْ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ.
(আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারাকতা ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম)
[সহিহ মুসলিম: ৫৯১]

 অতপর পড়তে পারেন আয়াতুল কুরসি (সূরা বাকারার ২৫৫ নাম্বার আয়াত)। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক সালাতের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, তার জান্নাতে প্রবেশের পথে মৃত্যু ব্যতীত অন্য কোন বাধা থাকবে না।” [নাসাঈ: ৬/৩০, আত-তারগিব: ২/৪৪৮, হাদিসটি হাসান (সহিহ)]

 এরপর পড়বেন এই পোস্টে উল্লেখিত প্রথম দু’আটি, যা মু’আয (রা.)-কে পড়ার জন্য নবীজি ওসিয়ত করে গেছেন।

 আরো পড়বেন- সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার ও আল্লাহু আকবার ৩৪ বার। বেশি বেশি মনে হলে এগুলো ১০ বার করেও পড়তে পারেন। হাদিসে দুইভাবেই এসেছে।

 আরো অনেক দু’আ ও যিকর এসেছে, সালাতের পরে পড়ার জন্য। এখানে কয়েকটি উল্লেখ করা হলো। 

Facebook Comments