চোরাই মালের ক্রয় বিক্রয় বিধান

604
চুরি সম্পদ

জিজ্ঞাসাঃ আমাদের এখানে ‘চোরা মার্কেট’ নামে প্রচলিত একটি মোবাইল মার্কেট আছে, সেখানে অনেক পুরাতন মোবাইল বা চুরি করা অনেক মাল পাওয়া যায়। এখন জানার বিষয় হলো, সে মার্কেট থেকে মোবাইল  বা অন্যকিছু ক্রয় করা যাবে কি-না?

উল্লেখ্য যে, কোনো কোনো দোকানদার বলেন যে, এটা এক মহিলা বা এক লোক বিক্রয় করেছে। আবার কেউ বলেন, এটা চোর থেকে কিনেছি।

সমাধানঃ কুরআন-হাদীস ও ফিক্বাহশাস্ত্রের নির্ভরযোগ্য কিতাবাদি অধ্যয়নে প্রমাণিত হয় যে, উল্লিখিত বর্ণনা অনুযায়ী মার্কেটটি যদি চোরা মার্কেট নামে প্রসিদ্ধ হয় এবং মানুষের প্রবল ধারণা এটাই যে, সেখানে চোরা মাল বিক্রি হয়, তাহলে সেখান থেকে কোনো পণ্য ক্রয় করা বৈধ নয়। কেননা, প্রথমতঃ চুরিকৃত বস্তু জেনেশুনে ক্রয় করা জায়েয নেই। কেননা, বিক্রেতা উক্ত পণ্যের প্রকৃত মালিক নয়। দ্বিতীয়তঃ এতে চুরির গুনাহে সাহায্য করা হচ্ছে। আর এ ব্যাপারে কুরআন পাকে নিষেধ করা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে, তোমরা একে অপরের সৎকর্মে ও খোদাভীতিতে সাহায্য কর এবং পাপ ও সীমালঙ্ঘনে একে অন্যের সহযোগী হয়ো না। (সূরা মায়েদা, আয়াত- ২)। সুতরাং বহুল পরিচিত এমন চোরাই মার্কেট থেকে কোনো পণ্য ক্রয় করা যাবে না।

তবে হ্যাঁ, ঐ মার্কেটের কোনো পণ্যের ব্যাপারে যদি কোনো ব্যক্তির ভালোভাবে জানা থাকে যে, এটা চুরিকৃত নয়, তবে সে পণ্যটি ক্রয় করা তার জন্য জায়েয হবে। (সূরা মায়েদা- ২-৫, রদ্দুল মুহতার- ৭/২২১, ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী- ৫/৪২০, ফাতাওয়ায়ে হাক্বানিয়া- ৬/২৮, ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া- ২৪/৯৬)।


এটা পড়তে পারেন – কাজা নামাজের নাড়ি-নক্ষত্র

Facebook Comments