মহানবীর ﷺ কিছু অনন্য বৈশিষ্ট্য

514
মুহাম্মদ-রাসুল-কুরআন-মুজিজা

প্রিয়নবী মুহাম্মাদ ﷺ কে আল্লাহ্‌ এমন কিছু বৈশিষ্ট্য দিয়েছিলেন যা তিনি সৃষ্টিজগতের আর কোন মানুষকে এমনকি অন্য কোন নবী-রাসূলকেও দেননি। ইসলামী পরিভাষায় এগুলোকে আল্লাহর রাসূলের “খাসাইস” (অনন্য বৈশিষ্ট্য) বলে। কোন কোন স্কলার কুরআন-হাদিস ঘেঁটে প্রিয়নবী মুহাম্মাদ ﷺ  এর প্রায় ৫০টি অনন্য বৈশিষ্ট্য বের করেছেন। এরকম কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হলো:

১) প্রিয়নবী মুহাম্মাদ ﷺ হলেন সর্বশেষ নবী।

আল্লাহ্‌ বলেন: “মুহাম্মাদ তোমাদের মধ্যে কোন পুরুষের পিতা নন, বরং তিনি আল্লাহর রাসূল ও শেষ নবী। আল্লাহ্‌ সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ।” (সূরা আহযাব ৩৩:৪০)

২) আল্লাহ্‌  আদি পিতা আদম (আ) এর দেহে রুহ ফুঁকে দেয়ারও আগে মুহাম্মাদ ﷺ এর নবুওয়তের বিষয়টি নির্ধারণ করেছিলেন।

এক সাহাবী একবার জিজ্ঞেস করল: হে আল্লাহর রাসূল? আপনি যে নবী হবেন সেটা আল্লাহ্‌ কবে নির্ধারণ করেছিলেন? রাসূলুল্লাহ ﷺ জবাবে বলেছিলেন – যখন আদম মাটি (ত্বীন) ও রুহ এর মধ্যবর্তী ছিলেন (অর্থাৎ, আদমের মাটির দেহে তখনও রুহ ঢুকানো হয়নি)।

৩) পূর্ববর্তী প্রত্যেক নবীকে পাঠানো হয়েছিল তাঁর যুগের ও তাঁর জাতির মানুষের জন্য। এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম হলেন আমাদের নবী মুহাম্মাদ ﷺ।  তিনি একমাত্র নবী যাকে সমস্ত মহাবিশ্বের সকল জাতির জন্য, কেয়ামত অবধি সকল যুগের জন্য নবী হিসাবে পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই না – তিনি একমাত্র নবী যাকে কেবল মানবজাতিরই নয়, বরং সমস্ত জ্বীন জাতির জন্যেও নবী করে পাঠানো হয়েছে।

৪) প্রিয়নবী মুহাম্মাদ ﷺ কে আল্লাহ্‌ দিয়েছিলেন রু’উব। আল্লাহর রাসূল বলেন – “আল্লাহ্‌ আমাকে রু’উব দিয়ে সাহায্য করেছেন। রু’উব এমন এক রকম ভয় যার ফলে আমি আমার শত্রুদের কাছে পৌঁছানোর আগেই তারা আমার ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে। এমনকি আমি তাদের থেকে এক মাস ভ্রমণ পরিমাণ দূরত্বে অবস্থান করলেও তারা আমার ভয়ে ভীত থাকে।”

৫) তাঁকে দেয়া হয়েছে সর্ববৃহৎ উম্মাহ। সাহিহ বুখারীতে বর্ণিত এক হাদিস থেকে জানা যায়, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন – আল্লাহ্‌ আমাকে বিভিন্ন নবীর উম্মাতদেরকে দেখালেন। তার মধ্যে এক নবীর উম্মাহ বিশাল বড় ছিল। আমি বললাম – এরা বোধহয় আমার উম্মাহ। আমাকে বলা হল – না, এরা মুসা (আ) এর উম্মাহ। এরপর আমার চোখে পড়ল তার চাইতেও বড় এক উম্মাহ – যা কিনা দিগন্ত পর্যন্ত ছাড়িয়ে গিয়েছিল। আমাকে বলা হলো – এরাই আপনার উম্মাহ ।

আরেক হাদিসে বলা হয়েছে – একবার রাসূলুল্লাহ ﷺ সাহাবীদের প্রশ্ন করলেন – “তোমরা কি চাও জান্নাতের এক-তৃতীয়াংশ তোমাদের মানুষেরা হবে?”

তারা খুশীতে বলে উঠল – “আল্লাহু আকবার!”

“তোমরা কি একথা শুনে খুশী হবে যে জান্নাতের অর্ধেকটা তোমাদের মানুষেরা হবে?”

“আল্লাহু আকবার!”

“আল্লাহর কসম – আমি আশা করি জান্নাতবাসীর দুই-তৃতীয়াংশ হবে আমার উম্মাহ”।

লক্ষণীয় যে, আজকে আমাদের কাছে এই হাদিসটাকে নিতান্ত সাধারণ মনে হতে পারে, কিন্তু তৎকালীন সাহাবীদের জন্য এটা ছিল এক বিরাট ঈমান-উদ্দীপক বাণী। সে সময় দুনিয়ার মোট মুসলিমের সংখ্যা সর্বসাকুল্যে দেড়-দু’হাজার ছিল, আর সেখানে খ্রিষ্টান ছিল কয়েক মিলিয়ন, ইহুদী ছিল কয়েক লক্ষ। মুসলিমদের সংখ্যা এক সময় সব জাতিকে ছাড়িয়ে যাবে, এটা চিন্তা করে সাহাবীরা তখন কতটা অনুপ্রানিত হয়েছিলেন তা এখন আমাদের কল্পনারও বাইরে।

৬) আল্লাহ ﷻ প্রিয়নবী মুহাম্মাদ ﷺ কে দিয়েছেন সকল মু’জিযার (miracle) শ্রেষ্ঠ মু’জিযা – “আল-কুরআন”।  আমরা জানি – মুসা(আ) লাঠির আঘাতে লোহিত সাগর দ্বিখন্ডিত করেছিলেন, ঈসা(আ) মৃতকে পুনরজ্জিবীতে করেছিলেন, নূহ(আ) তাঁর বিশাল কিস্তিতে ভেসে তাঁর অনুসারীদের রক্ষা করেছিলেন – কিন্তু ভেবে দেখুন এই মু’জিযাগুলো সবই ঐতিহাসিক ব্যাপার। আমরা কেউই মুসা(আ) কে লোহিত সাগর দ্বিখন্ডিত করতে দেখিনি, কেউই ঈসা(আ) কে দেখিনি মৃতকে পুনরজ্জীবিত করতে বা নূহ(আ) কে তাঁর বিশাল কিস্তি পানিতে ভাসিয়ে দিতে; কিন্তু আমরা সবাই কুরআন দেখেছি, যার ইচ্ছা হয় পড়েছি। কুরআন এমন এক মু’জিযা যা নাজিলের ১৪শত বছর পরেও আমরা নিজের চোখে দেখতে পারি, হাত দিয়ে ছুঁতে পারি, নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে পারি এটা কত আশ্চর্য এক গ্রন্থ!

– আরবী ভাষার যে কোন পন্ডিত স্বীকার করবেন যে আরবী সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হলো কুরআন। এত উচ্চ মার্গীয় ব্যাকরণ ও কাব্যিকতা আরবী ভাষার আর কোন গ্রন্থে খুঁজে পাওয়া যায় না। আরবী ভাষার মূল ব্যাকরণই কুরআন থেকে উদ্ভূত হয়েছে।

– কুরআন মানবজাতির ইতিহাসকে যেভাবে পরিবর্তিত করেছে, পৃথিবীর ইতিহাসে আর কোন একক গ্রন্থ এ কাজ করে দেখাতে পারেনি। কুরআনকে অনুসরণের কারণে জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতায় পৃথিবীতে সবচেয়ে অন্ধকারে থাকা আরব জাতি আজ থেকে ১৪ শত বছর আগে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী ও উন্নত জাতিতে পরিণত হয়েছিল। কুরআনের প্রভাব এমনকি ছড়িয়ে পড়েছিল বিভিন্ন অনারব ভূখন্ডেও, আর এর প্রভাবে দলে দলে বিভিন্ন জাতি ইসলাম গ্রহণ করেছিল। এক কুরআনের প্রভাবে নগ্ন-পদের বেদূঈনরা তৎকালীন সুপার-পাওয়ার রোমানদেরকে পরাজিত করেছিল, ছেড়া কাগজের মত টুকরো টুকরো করে ফেলেছিল মহাপরাক্রমশালী ফার্সী বাদশা খসরুর সাম্রাজ্য। ইসলামের স্বর্ণযুগে পৃথিবীর এক-তৃতীয়াংশ ছিল মুসলিমদের শাসনে। পদার্থ বিজ্ঞান, চিকিৎসা বিজ্ঞান, রসায়ন বিজ্ঞান, গণিত, ইতিহাস, অর্থনীতি সহ জ্ঞানের প্রতিটি শাখায় মুসলিমরা সে সময় নেতৃত্ব দিয়েছে। আর এ সবই হয়েছিল একটি মাত্র গ্রন্থ – আল-কুরআনকে অনুসরণের কারণে। আর বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে মুসলিমরা মার খাচ্ছে ঠিক তার বিপরীত কারণে – কুরআনকে জীবন নির্দেশিকা হিসাবে গ্রহণ না করার কারণে।

– পৃথিবীতে কুরআন যত বইয়ের জন্ম দিয়েছে, যত স্কুলের জন্ম (মাদ্রাসা শব্দের ইংরেজী হলো স্কুল) দিয়েছে, আর কোন একক বই তা দেয়নি। আজ বিশ্ব জুড়ে যে লক্ষ লক্ষ হাদিস গ্রন্থ, তাফসির গ্রন্থ, সীরাহ গ্রন্থ, ফিকহী গ্রন্থ – আমরা দেখতে পাই, এই সমগ্র ইসলামী সাহিত্যের উৎস হলো একটি মাত্র বই – আল-কুরআন।

– কুরআন এমন এক গ্রন্থ যাতে আছে ধর্মীয় বিশ্বাসের মূলনীতি (theology), ইবাদত করার পদ্ধতি, নৈতিকতা শিক্ষা ,অতীতের ইতিহাস, ভবিষ্যতে কি হবে তার বর্ণনা, পারিবারিক/সামাজিক/রাষ্ট্রীয় আইন, বিভিন্ন রকম বৈজ্ঞানিক নিদর্শনের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা, এমনকি একজন মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবন কিভাবে পরিচালিত করবে, কিভাবে নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে তা-ও। অবতীর্ণ হওয়ার ১৪শত বছর পরেও এই পৃথিবীর ১.৬ বিলিয়ন মুসলিম এই গ্রন্থের প্রতিটা অক্ষরকে যেভাবে বিশ্বাস করে, যেভাবে সম্মান প্রদর্শন করে, এই বইয়ে যেভাবে লেখা আছে সেভাবে অযু করে নিজেকে পবিত্র করে, সালাত আদায় করে, রমজানে রোজা রাখে, যাকাত আদায় করে, হজ্জ্ব পালন করে – তা সত্যিই এই বিশ্বের সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা, কিন্তু প্রতিদিন আমরা এটা ঘটতে দেখি বলে এটা আমাদের চোখে পড়ে না।


এটাও পড়ুন মহানবীর সাঃ এর কিছু নাম


– পৃথিবীতে যত বেশী মানুষ কুরআন পড়েছে, আর অন্য কোন গ্রন্থকে মানবজাতি সেভাবে পড়েনি। প্রতিবছর শুধু রমজান মাসে যে পরিমাণ কুরআন পড়া হয়, ৫০ বছরেও পৃথিবীর আর কোন গ্রন্থ এতবার পড়া হয় না। পৃথিবীতে কুরআনকে প্রথম থেকে শেষ অক্ষর পর্যন্ত যতবার, যত মানুষ মুখস্থ করেছে – আর কোন গ্রন্থকেই এভাবে করা হয়নি, করা হয় না।

সুতরাং, একথা নি:সন্দেহে বলা যায় যে – যদিও প্রত্যেক নবীর প্রত্যেক মু’জিযাই আল্লাহর ﷻ অসামান্য ক্ষমতার বহি:প্রকাশ, কিন্তু কুরআনের সাথে অন্য মু’জিযাগুলোর কোন তুলনা হয় না।

৭) প্রিয়নবী মুহাম্মাদ ﷺ কে সম্মানিত করা হয়েছে ইসরা ও মি’রাজ এর মাধ্যমে – যখন তাঁকে একেবারে আল্লাহর ﷻ আরশের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। অন্য কোন মানুষ, এমনকি কোন ফেরেশতাকেও কখনো আল্লাহর ﷻ এত কাছে যেতে দেয়া হয়নি। এই যাত্রার একটা সময় জিব্রিল(আ) প্রিয়নবী মুহাম্মদ ﷺ কে  বলেছিলেন – “হে আল্লাহর রাসূল বাকী পথ আপনাকে একা যেতে হবে, কারণ এর উপরে যাওয়ার অনুমতি আমার নেই”।

৮) প্রিয়নবী মুহাম্মদ ﷺ হলেন সমগ্র মানবজাতির নেতা। এক হাদিসে তিনি বলেছেন – “আমি হলাম সমস্ত আদম-সন্তানের সাইয়েদ (নেতা, রোল-মডেল)”।

৯) শিঙ্গায় দ্বিতীয় ফুতকারের পর সর্বপ্রথম যিনি কবর থেকে পুনরুত্থিত হবেন তিনি আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ ﷺ (বুখারী)। পুনরুত্থান দিবসে সব মানুষ নগ্ন অবস্থায় উত্থিত হবে। এদের মধ্যে সর্বপ্রথম কাপড় পড়ানো হবে প্রিয়নবী মুহাম্মদ ﷺ কে।

১০) পুনরুত্থান দিবসে প্রিয়নবী মুহাম্মদ ﷺ কে দেয়া হবে সর্ববৃহৎ হাউস “আল-কাউসার”, যা আমরা সূরা আল-কাউসার এর তাফসীর থেকে জানি। আল-কাউসার হলো বর্গাকৃতির একটি হাউস (Pool), যার একেকটি বাহুর দৈর্ঘ্য হবে মক্কা থেকে ইয়েমেনের সান’আ  পর্যন্ত – যা কিনা প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ। আবার, আল-কাউসার বলতে জান্নাতের মূল নদীটাকেও বুঝায়, জান্নাতের অন্য সকল নদী হলো এই আল-কাউসার নদীর শাখা-প্রশাখা। এর ব্যাখায় স্কলারেরা বলেছেন – প্রিয়নবী মুহাম্মদ ﷺ কে আল্লাহ্‌ যে আল-কাউসার উপহার দিয়েছেন, তার বরকতে যেন সকল জান্নাতবাসীর তৃষ্ণা মিটবে।

১১) সর্বপ্রথম পুলসিরাত পার হওয়ার গৌরব অর্জন করবেন আমাদের নবী মুহাম্মদ ﷺ । সর্বপ্রথম মানুষ হিসাবে জান্নাতে প্রবেশের সম্মানও দেয়া হবে প্রিয়নবী মুহাম্মদ ﷺ কে। যখন তিনি জান্নাতের দরজায় এসে কড়া নাড়বেন তখন ফেরেশতা তাকে জিজ্ঞেস করবে – “কে আপনি?” তিনি বলবেন – “আমি মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ”। সে উত্তর দিবে –“শুধু আপনি আসলেই আমাকে জান্নাতের দরজা খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে!”। একথার পর নিজের ডান পা রাখার মাধ্যমে আল্লাহ্‌ রাসূল ﷺ সর্বপ্রথম মানুষ যিনি জান্নাতে প্রবেশ করবেন। তাঁর পিছু পিছু প্রবেশ করবে তাঁর উম্মতেরা – যারা যুগের হিসাবে সর্বশেষ, কিন্তু জান্নাতে প্রবেশের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম উম্মত হবে।

১২) প্রিয়নবী মুহাম্মদ ﷺ কে আল্লাহ্‌ জান্নাতুল ফেরদৌসের সর্বশিখরে বসবাস করার একক সম্মান দিবেন। জান্নাতের লোকসংখ্যার বন্টন হলো পিরামিডের মত – লেভেল যত নিচের দিকে হবে, মানুষদের সংখ্যা তত বেশী হবে, আর লেভেল যত উপরে হবে মানুষের সংখ্যাও তত কম হবে। এই লেভেল উপরে উঠতে উঠতে সর্বোচ্চ যে লেভেলটা থাকবে – সেই লেভেলে যাওয়ার মত মর্যাদা কেবল একজন মানুষেরই থাকবে – আর তিনি হলেন আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ ﷺ । এই লেভেলটি আল্লাহর ﷻ আরশের ঠিক নিচে অবস্থিত আর এর নাম হলো “আল-ফাদিলাহ”। প্রিয়নবী মুহাম্মদ ﷺ বলেছেন – “আল-ফাদিলাহ হলো জান্নাতের একটি লেভেল যা কিনা আল্লাহ্‌ কেবল তাঁর একজন মাত্র বান্দাকে দিবেন “, এরপর তিনি ﷺ স্বভাবসুলত বিনয়ের সাথে বলেছেন, “আর আমি আশা রাখি যে আমি-ই সেই বান্দাহ” – যদিও তিনি নিশ্চিত জানতেন যে তিনি নিজেই হলেন আল-ফাদিলাহ পাওয়ার জন্য উপযুক্ত একমাত্র ব্যক্তি।

প্রত্যেকবার আযানের পর আমরা যে দু’আ করি তাতেও কিন্তু আমরা বলি – “আ-তি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাদিলাহ” –  হে আল্লাহ আপনি মুহাম্মাদ ﷺ কে আল-ওয়াসিলাহ ও আল-ফাদিলাহ দিন।

সূত্র ও কৃতজ্ঞতা:

  • শেইখ ইয়াসির কাযীর সীরাহ লেকচার

    লেখক-আদনান ফয়সাল

 

Facebook Comments