জান্নাত আমাদের সকলেরই কাম্য। কুরআনে জান্নাতের পরিচয় দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তায়ালা। আসুন দেখি আল্লাহ জান্নাতের কী বিবরণ দিলেন।

وَبَشِّرِ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ ۖ كُلَّمَا رُزِقُوا مِنْهَا مِنْ ثَمَرَةٍ رِزْقًا ۙ قَالُوا هَٰذَا الَّذِي رُزِقْنَا مِنْ قَبْلُ ۖ وَأُتُوا بِهِ مُتَشَابِهًا ۖ وَلَهُمْ فِيهَا أَزْوَاجٌ مُطَهَّرَةٌ ۖ وَهُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
১। যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে তাদেরকে শুভ সংবাদ দাও যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার নিম্নদেশে  নদী প্রবাহিত। যখনই তাদেরকে ফলমূল খেতে দেওয়া হবে তখনই তারা বলবে, আমাদেরকে পূর্ব জীবিকারূপে যা দেওয়া হত ইহা তো তাই। তাদেরকে অনুরূপ ফলই দেওয়া হবে এবং সেখানে তাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনী রয়েছে। তারা সেখানে স্থায়ী হবে। [সূরা বাকারা : আয়াত ২৫]

  قُلْ أَؤُنَبِّئُكُمْ بِخَيْرٍ مِنْ ذَٰلِكُمْ ۚ لِلَّذِينَ اتَّقَوْا عِنْدَ رَبِّهِمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَأَزْوَاجٌ مُطَهَّرَةٌ وَرِضْوَانٌ مِنَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ
২। বল, আমি কি তোমাদিগকে এই সব বস্তু হতে উৎকৃষ্টতর কোন কিছুর সংবাদ দিব? যারা তাকওয়া অবলম্বন করে চলে তাদের জন্য জান্নাত সমূহ রয়েছে যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। আর সেখানে তারা স্থায়ী হবে, তাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিগণ এবং আল্লাহর নিকট হতে সন্তুষ্টি রয়েছে। আল্লাহ বান্দাদের সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা। [সূরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৫]

وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَالرَّسُولَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
৩। তোমরা আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য কর যাতে তোমরা কৃপা লাভ করতে পার। [সূরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৩২]

وَسَارِعُوا إِلَىٰ مَغْفِرَةٍ مِنْ رَبِّكُمْ وَجَنَّةٍ عَرْضُهَا السَّمَاوَاتُ وَالْأَرْضُ أُعِدَّتْ لِلْمُتَّقِينَ
৪। তোমরা ধাবমান হও স্বীয় প্রতিপালকের ক্ষমার দিকে এবং সেই জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি আসমান ও যমীনের ন্যায়, যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে মুত্তাকীদের জন্য। [সূরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৩৩]

وَمَا كَانَ لِنَفْسٍ أَنْ تَمُوتَ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ كِتَابًا مُؤَجَّلًا ۗ وَمَنْ يُرِدْ ثَوَابَ الدُّنْيَا نُؤْتِهِ مِنْهَا وَمَنْ يُرِدْ ثَوَابَ الْآخِرَةِ نُؤْتِهِ مِنْهَا ۚ وَسَنَجْزِي الشَّاكِرِينَ
৫। আল্লাহর অনুমতি ব্যতীত কারও মৃত্যু হতে পারে না, যেহেতু তার মেয়াদ অবধারিত। কেউ পার্থিব পুরস্কার চাইলে আমি তাকে তার কিছু দেই এবং কেউ পরলৌকিক পুরস্কার চাইলে আমি তাকে তার কিছু দেই এবং শীঘ্রই কৃতজ্ঞদিগকে পুরস্কৃত করব। [সূরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৪৫]

 رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ ۖ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ
৬। কিন্তু যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। ইহা আল্লাহর পক্ষ হতে আতিথ্য; আল্লাহর নিকট যা আছে তা সৎকর্মপরায়ণদের জন্য শ্রেয়। [সূরা আলে-ইমরান : আয়াত ১৯৮]

 تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ ۚ وَمَنْ يُطِعِ اللَّهَ وَرَسُولَهُ يُدْخِلْهُ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا ۚ وَذَٰلِكَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
৭। এসব আল্লাহর নির্ধারিত সীমা। কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করলে আল্লাহ তাকে দাখির করবেন জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; সেখানে তারা স্থায়ী হবে এবং ইহা মহাসাফল্য। [সূরা নিসা : আয়াত ১৩]

  وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَنُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ۖ لَهُمْ فِيهَا أَزْوَاجٌ مُطَهَّرَةٌ ۖ وَنُدْخِلُهُمْ ظِلًّا ظَلِيلًا
৮। যারা ঈমান আনে ও ভাল কাজ করে তাদেরকে দাখিল করব জান্নাতে যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত; সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে, সেখানে তাদের জন্য পবিত্র স্ত্রী থাকবে এবং তাদেরকে চির ¯িœগ্ধ ছায়ায় দাখিল করব। [সূরা নিসা : আয়াত ৫৭]

وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ سَنُدْخِلُهُمْ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا أَبَدًا ۖ وَعْدَ اللَّهِ حَقًّا ۚ وَمَنْ أَصْدَقُ مِنَ اللَّهِ قِيلًا
৯। আর যারা ঈমান আনে ও সৎকাজ করে তাদেরকে দাখিল করব জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে; আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য, কে আল্লাহ অপেক্ষা কথায় অধিক সত্যবাদী?। [সূরা নিসা : আয়াত ১২২]

 وَمَنْ يَعْمَلْ مِنَ الصَّالِحَاتِ مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَأُولَٰئِكَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ وَلَا يُظْلَمُونَ نَقِيرًا
১০। পুরুষ অথবা নারীর মধ্যে কেউ সৎকাজ করলে ও মু’মিন হলে তারা জান্নাতে দাখিল হবে এবং তাদের প্রতি অণু পরিমাণও যুলুম করা হবে না। [সূরা নিসা : আয়াত ১২৪]

 وَالَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ لَا نُكَلِّفُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا أُولَٰئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
১১। আমি কাউকেও তার সাধ্যাতীত ভার অর্পণ করি না। যারা ঈমান আনে ও সৎকার্য করে তারাই জান্নাতবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। [সূরা আ‘রাফ : আয়াত ৪২]

وَنَزَعْنَا مَا فِي صُدُورِهِمْ مِنْ غِلٍّ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهِمُ الْأَنْهَارُ ۖ وَقَالُوا الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي هَدَانَا لِهَٰذَا وَمَا كُنَّا لِنَهْتَدِيَ لَوْلَا أَنْ هَدَانَا اللَّهُ ۖ لَقَدْ جَاءَتْ رُسُلُ رَبِّنَا بِالْحَقِّ ۖ وَنُودُوا أَنْ تِلْكُمُ الْجَنَّةُ أُورِثْتُمُوهَا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ
১২। আমি তাদের অন্তর হতে ঈর্ষা দূর করব, তাদের পাদদেশে প্রবাহিত হবে নদী এবং তারা বলবে, প্রশংসা আল্লাহরই যিনি আমাদেরকে তার পথ দেখিয়েছেন। আল্লাহ আমাদেরকে পথ না দেখালে আমরা কখনও পথ পেতাম না। আমাদের প্রতিপালকের রাসূলগণ তো সত্যবাণী এনেছিলেন। এবং তাদেরকে সম্বোধন করে বলা হবে, তোমরা যা করতে চাও তারই জন্য তোমাদেরকে জান্নাতের উত্তরাধিকারী করা হয়েছে। [সূরা আ‘রাফ : আয়াত ৪৩]

وَنَادَىٰ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ أَصْحَابَ النَّارِ أَنْ قَدْ وَجَدْنَا مَا وَعَدَنَا رَبُّنَا حَقًّا فَهَلْ وَجَدْتُمْ مَا وَعَدَ رَبُّكُمْ حَقًّا ۖ قَالُوا نَعَمْ ۚ فَأَذَّنَ مُؤَذِّنٌ بَيْنَهُمْ أَنْ لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الظَّالِمِينَ
১৩। জান্নাতবাসিগণ অগ্নিবাসীদেরকে সম্বোধন করে বলবে, আমাদের প্রতিপালক আমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আমরা তো তা সত্য পেয়েছি। তোমাদের প্রতিপালক তোমাদেরকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তোমরা তা সত্য পেয়েছো কি? তারা বলবে, হ্যাঁ, অতঃপর জনৈক ঘোষণাকারী তাদের মধ্যে ঘোষণা করবে, আল্লাহর লা‘নত যালিমদের উপর। [সূরা আ‘রাফ : আয়াত ৪৪]

وَعَدَ اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَمَسَاكِنَ طَيِّبَةً فِي جَنَّاتِ عَدْنٍ ۚ وَرِضْوَانٌ مِنَ اللَّهِ أَكْبَرُ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
১৪। আল্লাহ মু’মিন নর ও নারীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জান্নাতের, যার নি¤œদেশে নদী প্রবাহিত যেখানে তারা স্থায়ী হবে এবং স্থায়ী জান্নাতে উত্তম বাসস্থানের। আল্লাহর সন্তুষ্টিই সর্বশ্রেষ্ঠ এবং ইহাই মহাসাফল্য। [সূরা তাওবা : আয়াত ৭২]

إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ يَهْدِيهِمْ رَبُّهُمْ بِإِيمَانِهِمْ ۖ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهِمُ الْأَنْهَارُ فِي جَنَّاتِ النَّعِيمِ
১৫। যারা মুমিন ও সৎকর্মপরায়ণ তাদের প্রতিপালক তাদের ঈমান হেতু তাদেরকে পথ নির্দেশ করবেন; সুখদ কাননে তাদের পাদদেশে নহরসমূহ প্রবাহিত হবে। [সূরা ইউনুস : আয়াত ৯]

  دَعْوَاهُمْ فِيهَا سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَتَحِيَّتُهُمْ فِيهَا سَلَامٌ ۚ وَآخِرُ دَعْوَاهُمْ أَنِ الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
১৬। সেখানে তাদের ধ্বনি হবে হে আল্লাহ! তুমি মহান, পবিত্র! এবং সেখানে তাদের অভিবাদন হবে, সালাম এবং তাদের শেষ ধ্বনি হবে এই, সকল প্রশংসা জগৎসমূহের প্রতিপালক আল্লাহর প্রাপ্য! [ সূরা ইউনুস: আয়াত ১০]

 لِلَّذِينَ أَحْسَنُوا الْحُسْنَىٰ وَزِيَادَةٌ ۖ وَلَا يَرْهَقُ وُجُوهَهُمْ قَتَرٌ وَلَا ذِلَّةٌ ۚ أُولَٰئِكَ أَصْحَابُ الْجَنَّةِ ۖ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ
১৭। যারা মঙ্গলকর কাজ করে তাদের জন্য আছে মঙ্গল এবং আরও অধিক। কালিমা ও হীনতা তাদের মুখম-লকে আচ্ছন্ন করবে না। তারাই জান্নাতের অধিবাসী, সেখানে তারাই স্থায়ী হবে। [সূরা ইউনুস : আয়াত ২৬]

Facebook Comments