নারীবাদ এবং অবাস্তব সমতা

236
নারীবাদ

নারীবাদী প্রশ্নঃ যদি পুরুষ ধর্ষণের জন্য দায়ী হয়ে থাকে, তবে কেন নারী নিজেকে বোরখা বন্দী বা ঘরবন্দী করবে? কেন সে রাতের বেলায় বাইরে থাকতে পারবে না প্রয়োজনে? পুরুষকে ঘরে বন্ধ করে রাখা হোক! নারী-পুরুষ সবাই সমান।

জবাবঃ এখানে বলা হল – “কেন নারী নিজেকে বোরখাবন্দী করবে”। এটা মোটেও বুদ্ধিদীপ্ত প্রশ্ন না। এ ধরণের প্রশ্ন করে কিছু বোকা-সোকা নারীবাদীর হাততালি পাওয়া যাবে, এর বেশি কিছু হবে না।

প্রথম কথাঃ
পর্দার বিধান আল কুরআন ও হাদিস থেকে এসেছে। [১] পর্দা করার কারণ হচ্ছে এটা। কেউ ইচ্ছা করলেই এটা পরিবর্তন করতে পারে না। কুরআন-হাদিসে নারীদেরকে পুরুষদের থেকে অধিক আবৃত থাকতে বলেছে। নারীর সতর ও পর্দা পুরুষের চেয়ে অধিক। প্রয়োজনে বাইরের কাজ করার অনুমতি থাকলেও ইসলাম নারীদেরকে ঘরে অবস্থান করতেই উৎসাহিত করে। [২] এটাই আল্লাহর বিধান। কাজেই কেউ দাবি তুললেই আল্লাহর বিধান কেউ পরিবর্তন করবে না। ইসলামের বিধানগুলোর মূল কারণ হচ্ছেঃ এগুলো আল্লাহর আদেশ। মুসলিমরা আল্লাহর আদেশ পালন করে।

দ্বিতীয় কথাঃ 
ধর্মীয় বিধানের ব্যাপার যদি বাদও দেয়া হয়, সাধারণ যুক্তি, পর্যবেক্ষণ এবং বিজ্ঞান থেকেও আমরা এটা জানি যে – নারী আর পুরুষ এক না। তাদের দৈহিক গঠন ভিন্ন, চিন্তা-চেতনা ভিন্ন, যৌন চেতনার প্রকৃতিও ভিন্ন। নারীদের দেখেই পুরুষদের মধ্যে তাৎক্ষনিক যেসব প্রতিক্রিয়া হয়, পুরুষদের দেখে নারীদের তাৎক্ষনিকভাবে সে রকম কিছু হয় না। [৩] এগুলো সবাই বোঝে, বিজ্ঞানীরা বোঝে, কর্পোরেট ব্যাবসায়ীরাও বোঝে।

এ কারণেই দেখা যায় শোবিজ ইন্ডাস্ট্রিতে নারী মডেলদের খোলামেলা ছবির বাহার। বিজ্ঞাপন, ম্যাগাজিন – সব জায়গায় স্বল্পবসনা নারীদের উপস্থিতি। গাড়ির শোরুম বা বিজ্ঞাপনে বিকিনি পরা মেয়েদেরকে “শোপিস” হিসাবে রাখা হয়; আন্ডারওয়্যার পরা পুরুষদের রাখা হয় না। কেউ যদি “সমানাধিকার” এর কথা বলে জাঙ্গিয়া পরা পুরুষ মডেলদের গাড়ির শোরুমে রাখার দাবি জানান – কেউ তার কথাকে ২ পয়সাও গুরুত্ব দেবে না। কারণ তারা জানে যে অনাবৃত নারী দেহের প্রতি পুরুষের আকর্ষণ কীরকম, আর অনাবৃত পুরুষ দেহের প্রতি নারীদের আকর্ষণ কীরকম। নারী আর পুরুষের যৌন চেতনা বা অপরের প্রতি যৌন আকর্ষণ যদি এক রকম হত – তাহলে #Me_Too এর সমান ভিকটিম ছেলেরাও হতো। এগুলো বোঝে না শুধু impractical নারীবাদীরা।
[কথাগুলো লিখতে খুব বিব্রত লেগেছে, পরিষ্কার করে বোঝাবার স্বার্থে লিখতে হয়েছে।]

নারী দেহ যদি পুরুষ দেহের অনুরূপ হত – তাহলে এ নিয়ে বিশ্বব্যপী এভাবে ব্যাবসা হতো না। মুক্তমনারা মেয়েদের বেশি আবৃত থাকার কোনো কারণ খুঁজে পায় না, পর্দার গুরুত্ব তারা বোঝে না কিন্তু ব্যাবসা সবাই বোঝে। চলচ্চিত্রে নায়ককে দেখা যায় শরীর ঢাকা পোশাক পরতে, নায়িকাদের দেখা যায় শরীরের ৫০% বা আরো বেশি অংশ অনাবৃত রাখতে, এবং ঐ জাতীয় গানকে বলা হয় “কমার্শিয়াল” গান।

বরফে ঢাকা পাহাড়ের চুড়াতে কিংবা ইউরোপের হিমশীতল লোকেশনে গানের দৃশ্যে নায়ক থাকে জ্যাকেট পরা, হুডি পরা আর নায়িকা ও নারী extraরা থাকে সংক্ষিপ্ত পোশাক পরা। শীতে কেঁপে কেঁপে শুটিং করার সময় নায়িকার মাথায় ঠিকই এটা থাকে যে – সে এখানে শোপিস। “বাণিজ্যিক কারণে” তাকেই খোলামেলা হতে হবে। নায়ককে না। নায়কদেরকে দেখা যায় না হাফপ্যান্ট পড়ে আইটেম গানের কেন্দ্রিয় চরিত্র হতে, ওগুলো শুধু মেয়েরাই করে।

ছোটখাটো ড্রেস ছেলেদের অফিসিয়াল পোশাক হয় না, মেয়েদের হয়। জেমস বন্ড থাকে বিজনেস জ্যাকেট পরা, স্যুটেড-বুটেড; আর বন্ড গার্ল থাকে খোলামেলা পোশাক পরা আকর্ষনীয় দেহবল্লরীর মেয়েরা। এটাকেই সবাই স্বাভাবিকভাবে নেয়।

“সমানাধিকার” এর কথা বলে যদি জেমস বন্ডকে জাঙ্গিয়া পরানো হয়, আর বন্ড গার্লকে শরীর ঢাকা পোশাক পরানো হয় – ঐ চলচ্চিত্র কি আদৌ ব্যবসা করবে?

এটা বুঝতে চলচ্চিত্র বোদ্ধা হতে হয় না। চলচ্চিত্র পুরস্কার বা পার্টিতে পুরুষদের অফিসিয়াল ড্রেস হয় পা থেকে মাথা পর্যন্ত আবৃত সুটেড বুটেড পোশাক। আর নারীদের পোশাক হয়… (থাক বললাম না)। নারী আর পুরুষের দৈহিক গঠন, যৌন চেতনা এগুলো যদি এক রকম হতো – তাহলে এগুলো হতো না।

এরা নারীদেরকে বাইরে নামিয়ে আনতে চাবে, নারীদের ভিন্ন শারিরীক বৈশিষ্ট্য ও পর্দার গুরুত্বের বাস্তবতবতাকে এরা স্বীকার করবে না।
বাস্তবতা দেখার জন্য কিন্তু রকেট সায়েন্টিস্ট হতে হয় না। বাস্তব হচ্ছে – মিউজিক ভিডিও ইন্ডাস্ট্রি, চলচ্চিত্র, মডেলিং এই সব জায়গাতেই নারীদের অর্ধনগ্ন কিংবা পুরো নগ্ন করে ইউজ করা হয়। এসব ইন্ডাস্ট্রির মেয়েরা নিজেরাও জানে যে তাদেরকে শরীর দেখাতেই হবে, “খোলামেলা” হতে হবে। এই খোলামেলা হয়ে মানবদেহকে পণ্য বানানোতে কোনো সমস্যা হয় না, অথচ এই দেহকে মর্যাদার সাথে আবৃত রাখার কথা বললে নারীবাদীদের “জাত যায়”। “Miss Universe” প্রতিযোগিতা হয়। মিস্টার ইউনিভার্স বলে সেভাবে কোনো মাতামাতি দেখা যায় না। সেসব জায়গায় মেয়েদেরকে একটা বিশেষ কন্টেস্টে বিকিনি পরিয়ে হাঁটানো হয়, দেহের প্রতিটি ইঞ্চি যাচাই করা হয়। ছেলেদের নিয়ে এগুলো হয় না।

ছেলেদের খেলাধুলায় মেয়েরা ছোট স্কার্ট পরে চিয়ার গার্ল হয়ে নাচে। মেয়েদের খেলায় ছেলেরা নাচে না। আমি রেফারেন্স দিয়ে যে কোনো কিছু বলতে পছন্দ করি। কিন্তু এই অশ্লীল জিনিসের রেফারেন্স আমি দিতে ইচ্ছুক নই। মুক্তচিন্তা (?)র নোংরামী খণ্ডনের নিজেই ওসব আবর্জনা ঘেটে নিজেকে নোংরা করতে চাই না।
নারীদেহ আর পুরুষদেহ মোটেও এক না, তাদের চিন্তাধারাও এক না। আর এটাই নারীদের জন্য অধিক আবৃত থাকার ইসলামী বিধানের হিকমত।
[খুব বিব্রত হয়ে এগুলো লিখলাম। রেফারেন্স ছাড়া সাধারণত কিছু লিখি না, কিন্তু এগুলোর রেফারেন্স দিলাম না। না দেয়াই ভালো।]

এগুলো practical বা realistic মানুষমাত্রই বোঝে। বোঝে না শুধু Sultana’s dream বা অবাস্তব স্বপ্নের মাঝে ডুবে থাকা নারীবাদীরা। এ কারণেই তারা পুরুষদেরকে ঘরে বন্দী করার কথা বলে, নারীদের পর্দার গুরুত্ব অস্বীকার করে, পুরুষকেও সমান “পর্দা” করার দাবি জানায়। তারা নারীদের শরীর নিয়ে ব্যবসা নিয়ে সেভাবে প্রশ্ন তোলে না। আপত্তি তোলে ইসলামের পর্দার বিধান নিয়ে। অথচ ইসলাম কিন্তু প্রয়োজন অনুসারে পুরুষেরও পর্দার বিধান দিয়েছে।

এরা অবাস্তবভাবে নারী ও পুরুষকে সব জায়গায় “সমান” বানাতে চায়। আমি দৈনন্দিন জীবনের কিছু বাস্তব উদাহরণ দিয়ে এদের কথাবার্তার অসারতা বুঝিয়ে দিচ্ছি।

“আধুনিক” চিন্তাধারার এই মানুষেরা মুখে বলে যে – নারী-পুরুষ সমান। আবার বাসে-ট্রেনে এরা আলাদা মহিলা সিট চায়। কেন, আপনারা না সমান? তাহলে আলাদা সুবিধা চান কেন? মহিলা সিটগুলো কেন আপনাদের জন্য আলাদা করে রাখা হবে?

আপনারা না সমান? তাহলে মহিলা ক্রিকেটে কেন মাঠের বাউন্ডারীর আয়তন কম থাকে? খেলাধুলায় কেন নারী-পুরুষের জন্য কিছু জায়গায় আলাদা নিয়ম? কেন নারী ও পুরুষের জন্য আলাদাভাবে ইভেন্ট হয়? সামরিক বাহিনীওতে কেন মহিলাদের জন্য আলাদা শারিরিক রিকুয়ারমেন্ট? আপনারা না সমান? পুরুষের থেকে কম উচ্চতার একজন নারী কেন সামরিক বাহিনীতে সুযোগ পাবে? [৪] একজন পুরুষ সামরিক বাহিনীতে মাসের ৩০টি দিন যেভাবে সার্ভিস দিতে পারবে, একজন মহিলা কি মাসের ৩০ দিন পুরুষের মতো সমান সার্ভিস দিতে পারবে? নাকি ৩-৪ দিন কিছুটা সমস্যা হবে? একটা দেশ যদি “নারী-পুরুষ সমান” এই তত্ত্বে বিশ্বাসী হয়ে সব পুরুষকে ঘরবন্দী করে শুধু মহিলা সৈন্য দিয়ে সামরিক বাহিনী, আধা সামরিক বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গঠন করে, তাহলে ঐ দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কি শক্তিশালী হবে নাকি দুর্বল হবে?

নারীবাদীরা সব ক্ষেত্রে “নারী-পুরুষ সমান অংশগ্রহন” এর (অবাস্তব) দাবি জানায়। এদের “সমান অংশগ্রহন” আসলে কর্পোরেট অফিস আর কিছু চাকচিক্যে ভরা কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এদেরকে যদি বলা হয় – রেল স্টেশনে ভারী জিনিস বহন করার কুলির কাজ, রিকশা চালানোর কাজ, বাসে হেল্পারির কাজ, চালের দোকানগুলোর বস্তা বহনের কাজ {যেখানে ৫০+ কেজি ওজনের চালের বস্তা বহন করতে হয়}, ম্যানহোলের ক্লিনারের কাজ {যেখানে ম্যানহোলের গভীরে ঢুকে দুষিত বায়ুর মধ্যে বিপদ মাথায় নিয়ে স্যুয়ারেজ লাইন পরিষ্কার করতে হয়} এসব জায়গাতেও সমানভাবে কিংবা ব্যাপকভাবে এগিয়ে আসুন — এদেরকে খুঁজেও পাওয়া যাবে না।

সব জায়গায় সত্যি সত্যি এদেরকে “সমান” করে দিলে, অতিরিক্ত সুবিধা দেয়া বাদ দিয়ে দিলে এবং সব পুরুষকে ঘরবন্দী করে দিলে দেখা যাবে এরা কিভাবে দেশ চালায়।

যার যেখানে দায়িত্ব, তার সেখানেই সেটা পালন করা উচিত। ঘরে কাজ করলে বা পর্দা করলে নারী অসম্মানিত হয় না। আমাদের নিকট নারীরা মায়ের জাতি, বোনের জাতি। তারা সম্মানিত। [৫] বাসে বা গণপরিবহনগুলোতে কোনো মহিলা যদি সিট না পায়, তাহলেই এই ইসলামিস্ট হুজুররাই দাঁড়িয়ে নারীদের জন্য সিট ছেড়ে দেয়। কারণ হুজুরদের কাছে নারীরা মা ও বোনের জাতি। আমরা এখানে সমানাধিকারে বিশ্বাস করি না; আমরা বিশ্বাস করি এখানে নারীদের অধিকার বেশি। নারীদের জন্য সিট ছেড়ে দিতে হুজুরদের কোনো “মহিলা সিট” লাগে না। আমরা মনে করি উপার্জনের জরুরত পুরুষের জন্য; নারীর জন্য না। [৬] কিন্তু সমানাধিকারের বুলি আওড়ানো বুদ্ধিজীবিরা যখন “সমান সমান” করে মুখে ফেনা তুলে সব শেষে নারীদের জন্য অধিক সুবিধা দেবার কথা বলে – আমাদের কাছে সেটাকে দ্বিমুখিতা ছাড়া কিছু মনে হয় না।

ইসলাম শুধু অপরাধের জন্য শাস্তির বিধানই রাখে না, অপরাধের কারণগুলোও ধ্বংস করে দেয়। ইসলামে ধর্ষণ, ব্যভিচার – এগুলোর জন্য শাস্তির বিধান আছে। যৌন হয়রানী, ধর্ষণ – এগুলো কেন হয়? কামোত্তেজিত পুরুষের কারণেই এগুলো হয় [নারীরাও “সমানভাবে” এগুলো করতে পারে – এ কথা বললে সেটা হাস্যকর হবে ]।

নারী-পুরুষের অনিয়ন্ত্রিত দৃষ্টিপাত বন্ধ করে এবং একই সাথে সর্বক্ষেত্রে নারীরাও যদি নিজেদের আবৃত রাখে, তাহলে এই জাতীয় sexual crime এর প্রাথমিক কারণই শেষ হয়ে যায়। এরপরেও যদি কিছু কুলাঙ্গার এ জাতীয় অপরাধ করে- ইসলামে তার শাস্তির ব্যবস্থা আছে। বাস্তব তো এটাই যে – আল্লাহর বিধানের মধ্যেই মুক্তির সকল উপাদান আছে। নারীবাদী বা মুক্তমনারা যতই অবাস্তব কথা বলুক না কেন।

মায়েরা বাচ্চাদের নিরাপত্তা চায়। এ জন্য তারা বাচ্চাদেরকে একা একা রাস্তা পার হতে নিষেধ করে, দেখে শুনে রাস্তা পার হতে বলে। যাতে দুর্ঘটনার কোনো সম্ভাবনা না থাকে।
এখন কেউ এসে যদি বলা শুরু করেঃ “দুর্ঘটনা হলে সেটা গাড়ির চালকদের দোষ, একা রাস্তা পার হতে নিষেধ করে বাচ্চাদের “অধিকার” হরণ করা যাবে না। দেশে তো আইন আছে, দুর্ঘটনা হলে চালকদের শাস্তি হবে। দুর্ঘটনা ঘটলে সেটা চালকদের সমস্যা, বাচ্চাদের না। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী গাড়ী; বাচ্চারা না! বাচ্চারা কেন রাস্তায় ইচ্ছামত চলতে পারবে না? দরকার হলে সব গাড়ীকে গ্যারেজে বন্ধ করে রাখুন!” – তাহলে ঐ লোককে সবাই পাগল বলবে।

কিন্তু ইসলামের পর্দা নিয়ে উল্টোপাল্টা কথা বলে, তাহলে তাকে কেউ পাগল বলে না, তাকে সবাই “নারীবাদী” না হলে “মুক্তচিন্তাকারী” বলে।

“হে নবী! তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মু’মিনদের নারীদেরকে বলঃ তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজতর হবে, ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবেনা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”
(আল কুরআন, আহযাব ৩৩ : ৫৯)

“মুমিন পুরুষদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয়ই তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।

আর মুমিন নারীদেরকে বল, যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।”
(আল কুরআন, নুর ২৪ : ৩০-৩১)

তথ্যসূত্রঃ
=======

[১] “Verses and hadeeth about hijab – islamQA (Shaykh Muhammad Saalih Al-Munajjid)”
https://islamqa.info/en/13998/
[২] “Guidelines on women working outside the home – islamQA (Shaykh Muhammad Saalih Al-Munajjid)”
https://islamqa.info/en/106815/
[৩] ■ এ ব্যাপারে বিস্তারিত দেখা যেতে পারে এই বইটিঃ “Brain Sex: The Real Difference Between Men and Women” By Anne Moir & David Jessel
এখানে বেশ কিছু গবেষণামূলক তথ্য ও উপাত্ত উল্লেখ করা হয়েছে। নারী ও পুরুষের মস্তিষ্ক ও চিন্তা-চেতনার ভিন্নতা যে কতো ব্যাপক তা আলোচনা করা হয়েছে।
https://www.amazon.com/Brain-Sex-Difference-Be…/…/0385311834
■ অথবা দেখতে পারেন, এনামুল হক লিখিত ‘বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে বিবাহ ও নারীবাদ’ বইটি।
ডাউনলোড লিঙ্কঃ http://www.pathagar.com/book/detail/799
[৪] “Officer – Bangladesh Army”
https://www.army.mil.bd/Officer
[৫] এক লোক রাসূলুল্লাহ(ﷺ) এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলঃ হে আল্লাহর রাসূল(ﷺ)! আমার নিকট কে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার অধিক হকদার? তিনি বললেনঃ তোমার মা। লোকটি বললঃ অতঃপর কে? নবী(ﷺ) বললেনঃ তোমার মা। সে বললঃ অতঃপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সে বললঃ অতঃপর কে? তিনি বললেনঃ অতঃপর তোমার বাবা।
[মুসলিম ৪৫/১, হাঃ ২৫৪৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৩৩)
[৬] “If a woman works, does she have to pay the household expenses– islamQA (Shaykh Muhammad Saalih Al-Munajjid)”
https://islamqa.info/en/2686/

Facebook Comments