মূল : আই. এ. ইবরাহীম, বঙ্গানুবাদ : মুহাম্মদ ইসমাইল জাবীহুল্লাহ সম্পাদনাঃ মুয়াজ আব্দুল্লাহ । আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার প্রিয়তম ও সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অনেক মু‘জিযা (আশ্চর্যজনক অলৌকিক কাজ সংঘটিত হওয়া) ও দলীল প্রমাণ দিয়ে সাহায্য করেছেন। সে দলীলসমূহ প্রমাণ করে তিনি আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে সত্য নবী। তেমনিভাবে আল্লাহ তা‘আলা আসমানি কিতাব কুরআন শরীফকে বিভিন্ন মু‘জিযা দ্বারা সত্য প্রমাণ করেছেন। উপরোক্ত দলীলসমূহ এটাই প্রমাণ করে যে, আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে নাযিলকৃত কুরআন মাজীদের প্রতিটি অক্ষরই মহান আল্লাহ তা‘আলার বাণী; এটা প্রণয়নের পিছনে কোন সৃষ্টি জীবের হাত নেই। বক্ষ্যমাণ প্রবন্ধে সে ধরণের কিছু দলীলাদি উপস্থাপিত হবে ইনশাআল্লাহ। মানব সৃষ্টির রহস্য —-

১. আল-কুরআনের বৈজ্ঞানিক মু‘জিযা

কুরআন মাজীদ আল্লাহ তা‘আলার লিখিত বাণী। আল্লাহ তা‘আলা জিবরাইল আ. এর মাধ্যমে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর তা অবতীর্ণ করেছেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটাকে তার অন্তরে গেঁথে ও সাহাবীদের দ্বারা লিখিয়ে নিয়েছেন। সাহাবীরা এটাকে মুখস্থ করেছেন লিখেছেন এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে সাথে উচ্চারণ করেছেন। শুধু এটুকুই শেষ নয় বরং, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি-বছর জিবরাইল আ. -কে কবার করে কুরআন মুখস্থ শোনাতেন। যে বছর তিনি মারা যান সে বছর তাকে দুইবার কুরআন শুনিয়েছেন। কুরআন নাযিল হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত পৃথিবীর প্রচুর সংখ্যক মুসলিম তা মুখস্থ করে এর প্রতিটি শব্দকে নিজেদের অন্তরে গেঁথে নিয়েছেন। এদের অনেকে মাত্র ১০ বছর বয়সেই কুরআন মুখস্থ করতে সক্ষম হয়েছেন। কুরআন নাযিলের পর আজ পর্যন্ত কয়েকটি শতাব্দী অতিক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও তার একটি অক্ষরেও পরিবর্তন হয় নি।

চৌদ্দ শ বছর আগে নাযিলকৃত কুরআন শরীফে এমন কিছু বৈজ্ঞানিক আলোচনা স্থান পেয়েছে যা বর্তমান বিজ্ঞানের উৎকর্ষতার যুগে সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। এগুলোর সত্যতা প্রমাণ করেছেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানীরা। এগুলো নিঃসন্দেহে প্রমাণ করে যে, কুরআন আল্লাহ তা‘আলার লিপিবদ্ধকৃত সত্য বাণী। যা তিনি তার প্রিয়নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে অবতীর্ণ করেছেন; এ কিতাব মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিংবা অন্য কারো রচিত নয়। এটা দ্বারা আরও প্রমাণিত হয় যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা‘আলার সত্য নবী। চৌদ্দ শ বছর আগেকার কোন মানুষ বর্তমানকালের অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি দ্বারা প্রমাণিত বিষয়গুলো বলে দিতে পারে— এমন কথা বিশ্বাসযোগ্য নয়। নিম্নে আপনাদের সামনে এমন কিছু বিষয়ই তুলে ধরার প্রয়াস চালাব ইনশাল্লাহ।

ক. কুরআন মাজীদ ও মানুষের সৃষ্টি প্রক্রিয়া

কুরআন শরীফ মানুষের সৃষ্টি-প্রক্রিয়ার বিভিন্ন স্তর নিয়ে আলোচনা করেছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:

﴿وَلَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنْسَانَ مِنْ سُلَالَةٍ مِنْ طِينٍ (12) ثُمَّ جَعَلْنَاهُ نُطْفَةً فِي قَرَارٍ مَكِينٍ (13) ثُمَّ خَلَقْنَا النُّطْفَةَ عَلَقَةً فَخَلَقْنَا الْعَلَقَةَ مُضْغَةً فَخَلَقْنَا الْمُضْغَةَ عِظَامًا فَكَسَوْنَا الْعِظَامَ لَحْمًا ثُمَّ أَنْشَأْنَاهُ خَلْقًا آخَرَ فَتَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ (14)﴾

অর্থাৎ “আর আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মাটির সারাংশ থেকে। অতঃপর আমি তাকে শুক্র-বিন্দুরূপে এক সংরক্ষিত আধারে স্থাপন করেছি। এরপর আমি শুক্র-বিন্দুকে জমাট রক্তে পরিণত করেছি, অতঃপর জমাট রক্তকে মাংসপিণ্ডে পরিণত করেছি, এরপর সেই মাংসপিণ্ড থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি, অতঃপর অস্থিকে মাংস দ্বারা আবৃত করেছি। অবশেষে তাকে একটি নতুন রূপে দাঁড় করিয়েছি। নিপুণতম সৃষ্টিকর্তা কতই না কল্যাণময়।” (আল-কুরআন, সূরা আল-মু‘মিনুন: ১২-১৪)

আরবি “الْعَلَقَةَ” (আলাকা) শব্দের তিনটি অর্থ রয়েছে।

১. জোক
২. সংযুক্ত জিনিস
৩. রক্তপিণ্ড

আমরা যদি জোককে গর্ভস্থ সন্তানের সাথে মেলাতে যাই তাহলে, আমরা দু‘টির মধ্যে সামঞ্জস্য দেখতে পাই। নিচের ১ নং ছবিতে সেটা স্পষ্ট। এ অবস্থায় জোক যেমন অন্যের রক্ত খায় তেমনি উক্ত ভ্রূণ তার মায়ের রক্ত খেয়ে বেচে থাকে।

দ্বিতীয় অর্থের আলোকে আমরা যদি তাকে “সংযুক্ত জিনিস” অর্থে নিই তাহলে দেখতে পাই যে, গর্ভস্থ ভ্রূণ মায়ের গর্ভের সাথে লেপটে আছে। (২ নং ও ৩ নং চিত্র দ্রষ্টব্য)

 

চিত্র-১ : চিত্রে জোক ও মানব ভ্রূণকে একই রকম দেখা যাচ্ছে।




চিত্র-২ :
এই চিত্রে দেখা যাচ্ছে উক্ত ভ্রূণটি মায়ের গর্ভের সাথে লেপটে রয়েছে। (চিত্রটি The Developing Human, ৫ম সংস্করণ, ৬৬ পৃষ্ঠা হতে নেয়া হয়েছে।)

 

চিত্র-৩: এ চিত্রে দেখা যাচ্ছে (B চিহ্নিত) ভ্রূণটি মাতৃগর্ভে লেপটে আছে। এর বয়স মাত্র ১৫ দিন। আয়তন-০.৬ মি.মি. (চিত্রটি The Developing Human, ৩য় সংস্করণ, ৬৬ পৃষ্ঠা হতে নেয়া হয়েছে যা লেসন এন্ড লেসনের Histology গ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে)


তৃতীয় অর্থের
আলোকে আমরা উক্ত শব্দের “রক্তপিণ্ড” অর্থ গ্রহণ করলে দেখতে পাব যে, তার বাহ্যিক অবস্থা ও তার সংরক্ষিত খাঁচা (আবরণ) রক্তপিণ্ডের মতই দেখায়। উক্ত অবস্থায় এখানে প্রচুর পরিমাণ রক্ত বর্তমান থাকে। (৪র্থ চিত্র দ্রষ্টব্য) এতদসত্ত্বেও তিন সপ্তাহ পর্যন্ত এই রক্ত সঞ্চালিত হয় না। সুতরাং, বলা যায়— এ অবস্থা রক্তপিণ্ডের মতই।

চিত্র-৪ : এই চিত্রে ভ্রূণ ও তার আবরণকে তার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ রক্ত বর্তমান থাকার কারণে রক্তপিণ্ডের মতই দেখাচ্ছে। (চিত্রটি The Developing Human, ৫ম সংস্করণ, ৬৫ পৃষ্ঠা হতে নেয়া হয়েছে)

 

উক্ত “আলাকা” শব্দের তিনটি অর্থের সাথেই ভ্রূণের বিভিন্ন স্তরের গুণাবলি হুবহু মিলে যাচ্ছে।

কুরআন শরীফের আয়াতে উল্লেখিত ভ্রূণের ২য় স্তর হল— “مُضْغَةً” (মুদগাহ)। مُضْغَةً হল চর্বিত দ্রব্য। যদি কেউ এক টুকরা চুইংগাম নিয়ে দাতে চর্বণ করার পর তাকে ভ্রূণের সাথে তুলনা করে তাহলে, উক্ত দ্রব্যের সাথে ভ্রূণের হুবহু মিল দেখতে পাবে। (৫ ও ৬ নং চিত্র দ্রষ্টব্য)

আজ বিজ্ঞানীরা মাইক্রোস্কোপসহ অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি ব্যবহার এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করে এগুলো আবিষ্কার করেছে কুরআন নাযিল হওয়ার দেড় হাজার বছর পর। তাহলে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের পক্ষে এত কিছু জানা কেমন করে সম্ভব যখন এ সবের কিছুই আবিষ্কৃত হয় নি?

চিত্র-৫ : এই চিত্রটি ২৮ দিন বয়সের (মুদগাহ স্তরের) ভ্রূণের চিত্র। উক্ত চিত্রটি দাঁত দ্বারা চর্বিত লোবানের মতই দেখাচ্ছে। (চিত্রটি The Developing Human, ৫ম সংস্করণ, ৭২ পৃষ্ঠা হতে নেয়া হয়েছে)

 

 

চিত্র-৬ : এখানে চর্বিত চুইংগাম ও ভ্রূণের চিত্র উপস্থাপিত হয়েছে। আমরা উভয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য দেখতে পাই। উপরের চিত্র A তে আমরা ভ্রূণের গায়ে দাঁতের মত চিহ্ন এবং চিত্র B তে চর্বিত লোবান দেখতে পাচ্ছি।

 

 

 

১৬৭৭ খৃষ্টাব্দে হাম ও লিউয়েনহোক নামক দুই বিজ্ঞানী মাইক্রোস্কোপ দিয়ে মানুষের বীর্যের মধ্যে জীবনের অস্তিত্ব (Spermatozoma) খুঁজে পান রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগের এক সহস্রাধিক বছর পর। এ দুইজন বিজ্ঞানীই আগে ভুলক্রমে বিশ্বাস করেছিলেন যে, মানুষের বীর্যের মধ্যে উক্ত কোষের রয়েছে অতি সামান্য প্রক্রিয়া। নারীর ডিম্বাণুতে আসার পর তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে থাকে।

আর প্রফেসর কেইথ এল. মুর বিশ্বের একজন প্রসিদ্ধ ভ্রূণ-বিজ্ঞানী এবং মানবদেহের প্রবৃদ্ধি গ্রন্থের লেখক; তার সাড়া-জাগানো এ বইটি বিশ্বের আটটি ভাষায় ছাপা হয়েছে। এটা বিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ রেফারেন্স বই। বইটি আমেরিকার বিশিষ্ট একটি গবেষণা বোর্ড কর্তৃক কোনো একক লেখকের শ্রেষ্ঠ বই হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। কেইথ এল. মুর হচ্ছেন কানাডার টরোন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরবিদ্যা ও কোষ বিভাগের প্রফেসর। তিনি সেখানে মেডিক্যাল ডিপার্টমেন্টের অধীনে মৌলিক বিজ্ঞান (Basic science) বিভাগের সহকারী ডীন হিসেবে এবং আট বছর শারীরবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৮৪ সালে তিনি কানাডায় শারীরবিদ্যা বিভাগের উপর কৃতিত্বপূর্ণ স্বাক্ষর রাখার জন্য কানাডার শারীরবিদ্যা বোর্ডের পক্ষ থেকে J.C.B. পুরস্কার পেয়েছিলেন। এছাড়া তিনি Canadian and American Association of Anatomists এবং Council of the Union of Biological Sciences -সহ বহু আন্তর্জাতিক সংস্থায় দায়িত্ব পালন করেছেন।


এটা পড়ুন – কেন আমি ইসলাম মানব বা ইসলাম গ্রহণের উপকারিতা


১৯৮১ সালে সৌদি আরবের দাম্মামে অনুষ্ঠিত সপ্তম মেডিক্যাল সেমিনারে তিনি বলেন: “আমার জন্য এটা অত্যন্ত সৌভাগ্যের ব্যাপার ছিল যে, আমি মানব শরীরের প্রবৃদ্ধির ব্যাপারে ভালোভাবে জানতে কুরআন শরীফের সহায়তা নিতাম। আমার কাছে এটা এখন স্পষ্ট যে, এ বিষয়গুলো আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর অবতীর্ণ হয়েছে। কেননা, এ সকল বিষয়ের প্রায় সব কিছুই তার মৃত্যুর কয়েকশত বছর পর আবিষ্কৃত হয়েছে। এটা প্রমাণ করে যে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা‘আলার সত্য নবী।”

এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হল: তাহলে কি এর অর্থ দাঁড়ায়— “কুরআন মাজীদ আল্লাহ তা‘আলার বাণী?” তিনি জবাব দিলেন: “আমি এ কথা মেনে নিতে কুণ্ঠাবোধ করি না।”

প্রফেসর মুর একটি কনফারেন্সে বলেছিলেন: “কুরআন ও হাদীসে মানবভ্রূণের বৃদ্ধি প্রক্রিয়ার সময়কার বিভিন্ন স্তরকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে বিভিন্ন পরিভাষা ব্যবহার করে আলোচনা করেছে। এ পদ্ধতিগুলো অত্যন্ত চমৎকার ও বিস্তৃত অর্থ নির্দেশ করে থাকে, যা আধুনিক শরীর বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের সাথে সংগতিপূর্ণ। বিগত চার বছরে সপ্তম শতাব্দীতে নাযিলকৃত কুরআন ও হাদীসের আলোকে মানবভ্রূণ নিয়ে গবেষণা করে বিস্ময়কর ফলাফল পাওয়া গেছে। এরিস্টটল ভ্রূণবিদ্যা জনক হওয়া সত্ত্বেও তিনি খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে মুরগির ডিমের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখেন যে, মুরগির বাচ্চার সৃষ্টি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় কয়েকটি স্তরে। তবে, তিনি স্তরগুলো সম্বন্ধে বিস্তারিত কিছুই জানাতে পারেন নি। ধরে নেয়া যায় যে, কুরআন নাযিলের সময় ভ্রূণের এ স্তরগুলো সম্বন্ধে খুব কমই জানা ছিল; যা সপ্তম শতাব্দীতে বিজ্ঞানের কোন কিছুর উপর নির্ভর করে জানার সুযোগ ছিল না। এখানে এসে শুধু একটি মাত্র নির্ভরযোগ্য ফলাফলে আসা যায় যে, এ সমস্ত জ্ঞান মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসেছে একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে। কারণ, তিনি ছিলেন নিরক্ষর তার এগুলো জানার কথা ছিল না। এছাড়া অন্য কোথাও থেকে তার মত নিরক্ষর লোককে যে ট্রেনিং দেয়া হবে তাও ছিল অসম্ভব।


রেফারেন্স-
১ । মানবদেহের প্রবৃদ্ধি, মুর ও পারসাউড, ৫ম সংস্করণ,
২ । কুরআন-হাদীসের আলোকে মানব দেহের প্রবৃদ্ধি, মুর ও অন্যান্য, pdf পাবেন এখানে
৩ । This is the Truth তথা “এটাই সত্য” নামক ভিডিও ডকুমেন্টারি থেকে সংগৃহীত। এই ভিডিও ডকুমেন্টারিসহ প্রফেসর কেইথ মুরের মতামতসমূহ দেখার জন্য www.islam-guide.com/truth ভিজিট করুন।


প্রবন্ধটি ইসলামহাউজ.কমে প্রকাশিত ইসলামের সচিত্র গাইড গ্রন্থ থেকে সঙ্কলিত ও সম্পাদিত


 

 

Facebook Comments